‘সমবায়ই শক্তি সমবায়ই মুক্তি’ স্লোগান সামনে রেখে দেশের উন্নতিতে সমবায় সমিতি ব্যাপকভাবে অবদান রাখতে পারে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ এক হয়ে একটি চক্রে আবদ্ধ হতে পারে। এর প্রতিটি সদস্যের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয় এক করে একটি বড় মূলধন তৈরি করা যেতে পারে। এই মূলধন দ্বারা সমিতির সদস্যরা কোনো বড় কার্য সম্পাদন করতে পারবেন। এখানকার সদস্যদের অবশ্যই নিবেদিতপ্রাণ হতে হবে। সমিতিতে সঞ্চয় ঠিকমতো দিতে হবে এবং বিভিন্ন গঠনমূলক আলোচনায় অংশগ্রহণ নিতে হবে। যেসব সদস্যের প্রকৃতই ঋণ দরকার, তাঁদের ঋণ দিতে হবে এবং যাঁরা ঋণ নেবেন, তাঁদের সঠিক সময়ে ঋণের কিস্তি ফেরত দিতে হবে। যারা সঠিকভাবে শিক্ষা অর্জন করতে পারছে না, তাদের যথাসাধ্য আর্থিকভাবে সহায়তা করতে হবে।
সমবায় সমিতির প্রত্যেক সদস্যের মতামত গুরুত্ব দিতে হবে এবং মুক্ত আলোচনার ব্যবস্থা করতে হবে। সবার মতামতের ওপর ভিত্তি করে একটি গঠনমূলক সিদ্ধান্তে পৌঁছতে হবে। সঞ্চয়ের টাকা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে বিনিয়োগ করতে হবে। কারণ, সঠিক বিনিয়োগ সমিতির উন্নতিতে সহায়ক হবে। সমবায় সমিতি যেমন- সদস্যদের কল্যাণের জন্য কাজ করবে, ঠিক একইভাবে এর সদস্যদেরও সমিতির প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে এবং সমিতির উন্নতিতে অবদান রাখতে হবে।
প্রতিটি সমবায় সমিতির সঠিক কর্মপন্থা ও নীতিমালা থাকতে হবে। এগুলো করতে হবে দেশ ও দশের সার্বিক কল্যাণের কথা মাথায় রেখে। যত বেশি সমবায় সমিতি হবে, ততই এই দেশের মানুষ সত্যবদ্ধ হবে। মনে রাখতে হবে, একটি ভালো সমিতি পুরো একটি এলাকা এবং দেশের উন্নতিতে অবদান রাখতে পারে। প্রকৃতপক্ষে সমবায়ের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখা সম্ভব।