যেকোনো ধরনের সমবায় সমিতি, এনজিও ও মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি’র চালিকা শক্তি উক্ত প্রতিষ্ঠানের সক্রিয় সদস্যবৃন্দ। যে সমিতিতে যত বেশি সদস্য, সেই সমিতি তত বেশি সমৃ্দ্ধ।
ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের স্বল্প পুঁজির উৎপাদকগণ নিজেদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য যে সমবায় সংগঠন গঠন করে তাকে উৎপাদক সমবায় সমিতি বলে। সাধারণভাবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের মালিকগণ তাদের সীমিত আর্থিক সম্পদের কারণে বৃহদায়তন উৎপাদনের সুবিধা ভোগ করতে পারে না।
ঐক্যবদ্ধ থাকার ওপরই সমবায়ীদের সফলতা নির্ভর করে বিধায় “ঐক্যই শক্তি” সমবায়ের প্রধান মূলনীতি। সকলে মিলে একভাবে একমনে ও একত্রে চলার দৃঢ় অভিব্যক্তি, প্রবণতা ও অবস্থাকে একতা বলে।
সমবায় অর্থনীতি কীএকটি সমবায় প্রতিষ্ঠান এমনও হতে পারে, যেখানে ব্যবসাটি এর সুবিধাভোগী সবাই সমভাবে নিয়ন্ত্রণ করে অথবা তারাই এ প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন।
‘সমবায়ই শক্তি সমবায়ই মুক্তি’ এই স্লোগানটি হল জাগ্রত যুবকদের আর্থিক সমস্যা সমাধানের মুক্তির অগ্রদূত। এ দেশের উন্নতিতে সমবায় সমিতি ব্যাপকভাবে অবদান রাখছে।
সমবায় সমিতির অর্থ হল সম্মিলিত প্রচেষ্টা। নিজেদের অর্থনৈতিক কল্যাণ অর্জনের সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে সহজ অর্থে সমবায় বলে। প্রকৃত অর্থে একই শ্রেণির কতিপয় ব্যক্তি নিজেদের আর্থিক কল্যাণ সাধনের লক্ষ্যে স্বেচ্ছায় সংঘবদ্ধ হয়ে সম-অধিকারের ভিত্তিতে সমবায় আইনের আওতায় যে ব্যবসায় সংগঠন গড়ে তোলে তাকে সমবায় সংগঠন বলা হয়ে থাকে।